Header Ads

Header ADS

রোজার কাফফারা

শরিয়তসম্মত কোনো কারণ ছাড়া ইচ্ছাকৃত রমজানের রোজা ভেঙে ফেললে তার কাজা ও কাফফারা আদায় করতে হয়। শুধু একটি রোজার বদলে আরেকটি রোজা রাখাকে কাজা বলে। কাফফারা এর চেয়ে ভিন্ন। কাফফারার বিধান নিম্নে দ্রষ্টব্য।
কাফফারা চারভাবে আদায় করা যায়।

১. একজন গোলামকে আজাদ করা বা দাসকে মুক্তি দেওয়া।
২. ধারাবাহিকভাবে ৬০টি রোজা পালন করা।
৩. ৬০ জন মিসকিনকে দুই বেলা ভালোভাবে তৃপ্তিসহকারে পানাহার করানো বা আপ্যায়ন করা।
৪. একজন গরিবকে প্রতিদিন এক ফিতরা পরিমাণ করে ৬০ দিন দিলেও আদায় হবে।
পানাহার ও সহবাস ছাড়া অন্য পদ্ধতিতে ইচ্ছাকৃত ভাঙলে কাফফারা দিতে হবে না। শুধু কাজা আদায় করলে হবে। (মাবসুতে সারাখসি : ৩/৭২)
কাফফারা আদায়ের ক্ষেত্রে লাগাতার ৬০ দিন রোজা রাখার সময় যদি এক দিনও বাদ যায়, তাহলে আবার শুরু থেকে গণনা আরম্ভ হবে, আগেরগুলো বাদ হয়ে যাবে। (মাবসুতে সারাখসি : ৩/৮২)
কোনো ব্যক্তির ইচ্ছাকৃতভাবে একাধিকবার একই রমজানের রোজা ভাঙার কারণে এক কাফফারাই যথেষ্ট হবে। অর্থাৎ ভেঙে ফেলা সব রোজার জন্য ৬০ জন মিসকিনকে দুবেলা খানা খাওয়াবে। অথবা প্রতি মিসকিনকে এক ফিতরা পরিমাণ সম্পদ সদকার মাধ্যমেও কাফফারা আদায় করা যাবে। (বাদায়েউস সানায়ে : ২/১০১, রদ্দুল মুহতার : ২/৪১৩)
৬০ মিসকিনকে দুবেলা খানা খাওয়ানোর পরিবর্তে প্রত্যেককে এক ফিতরা পরিমাণ অর্থাৎ এক কেজি (৬৩৫ গ্রামের কিছু বেশি) গম বা তার সমপরিমাণ অর্থ দেওয়া যেতে পারে। তবে শর্ত হলো, ওই টাকা দ্বারা মিসকিনকে খানা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। একজন গরিবকে প্রতিদিন এক ফিতরা পরিমাণ করে ৬০ দিন দিলেও আদায় হবে। ৬০ দিনের ফিতরা পরিমাণ একত্রে বা এক দিনে দিলে আদায় হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া ১/৫১৩, রদ্দুল মুহতার ৩/৪৭৮)


No comments

Theme images by wingmar. Powered by Blogger.